যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার ভেতর দিয়ে মহাকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি ) বিকালে সাগরদাঁড়ী এলাকায় বাসির উদ্যোগে চৌরাস্তা মোড়ে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহত্তর যশোর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা হলো কেশবপুর উপজেলা। ১১ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার নিয়ে কেশবপুর উপজেলা গঠিত।

এই উপজেলাতেই জন্ম বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের। ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়।

আরো যারা আলোচিত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন: ধীরাজ ভট্টাচার্য – অভিনেতা।সাহিত্যিক মনোজ বসু। এ এস এইচ কে সাদেক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী। ইসমাত আরা সাদেক, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। বর্তমান সময়ে অনেক লেখক সাহিত্যিক তাদের নিজস্ব ভাবধারা প্রকাশ করে চলেছে।

কেশবপুরে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।সাগরদাড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধুপল্লী, মীর্জা নগর নবাব বাড়ি ☞︎︎︎হাম্মামখানা,
পাঁজিয়ায় মহানায়ক ধীরাজ ভট্টাচার্য ও মনোজ বসুর বাড়ি, গৌরীঘোনা ইউনিয়নে ভর্তের দেউল (ভরত রাজার দেউল)। বিদ্যানন্দকাটী ইউনিয়নের খান জাহান আলী দীঘি ( পীর খান জাহান আলীর দীঘি) ।

মীর্জানগর হাম্মামখানা, ভরত ভায়না দেউল, পাঁজিয়ায় ধীরাজ এবং মোহন ভট্টাচার্যের বাড়ি। যেখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী বেড়াতে আসেন।

বর্তমান সময়ে আলোচিত নব্য প্রস্তাবিত সাতক্ষীরাগামী রেলপথটি যদি মণিরামপুর – কেশবপুর – সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা রুটে নির্মিত হয় তাহলে পর্যটকদের ভ্রমন সুবিধা বাড়বে। আর নব্য প্রস্তাবিত রেললাইন আমাদের পর্যটন শিল্প এবং সর্বদিক দিয়ে অগ্রগতির ভূমিকা রাখবে।

শুধুমাত্র কেশবপুর উপজেলা বাসি সুবিধা ভোগ করবে এমনকি নয় প্রত্যেক উপজেলা সুযোগ-সুবিধা পাবে যদি মনিরামপুর-কেশবপুর- সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা রুটে রেললাইন স্থাপন হয়।

তাই রেলপথ নির্মাণ মণিরামপুর-কেশবপুর -সাগরদাঁড়ি হয়ে সাতক্ষীরা বাস্তাবায়নের দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের কাছে। আসুন প্রত্যেকের সচেতন হয়।